ভাদু পুজোর গানে এবার করোনা সচেতনতা : গানের সুরে স্বাস্থ‍্য বিধির প্রচার

18th September 2020 12:03 pm বাঁকুড়া
ভাদু পুজোর গানে এবার করোনা সচেতনতা : গানের সুরে স্বাস্থ‍্য বিধির প্রচার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাঢ় বাংলার অন্যতম লোক উৎসব  হল ভাদু পূজো। সেই ভাদু পূজোর গানে উঠে এল করোণা সচেতনতার বার্তা। সাধারণ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরের ভাদু পূজোর প্রচলন রয়েছে। এক সময় অবশ্য এই লোক উৎসবের প্রচলন ছিল খুব বেশি। প্রতিটি পাড়ায় বেশ জাঁক জমক করে হতো,তবে বর্তমানে অবশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে এই প্রাচীন লোক উৎসব। সাধারণত, ভাদ্র মাসে ভাদুর মূর্তি বাড়িতে এনে সারা মাস ধরে ভাদুর পূজো, ভাদুর সামনে করা হয় বিভিন্ন লোকগান। এরপর ভাদ্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে হয় ভাদুর জাগরণ। প্যান্ডেল করে সেখানে রাখা হয় ভাদুকে,দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম প্রসাদ। এরপর সেখানে মেয়েরা সেখানে সমবেত হয়ে সারারাত ধরে বিভিন্ন ধরণের গান, নাচ। সকালে স্থানীয় পুকুর বা নদীতে দেওয়া হয় ভাদুর বিসর্জন। ভাদুর গানের বিষয় গুলি হয় সাধারণত রামায়ণ বা মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনাকে অবলম্বন করে। আবার স্থানীয় প্রচলিত রীতি বা স্থানীয় কোন বিষয়কে ছড়ার আকারে লিখেও ভাদুর গান তৈরী করে তা গাওয়া হয়। এই গানের মধ্যে যেমন বিভিন্ন শিক্ষনীয় বিষয় থাকে, তেমনি থাকে পুরান, মহাভারত আবার থাকে আমোদ প্রমোদের বিষয়ও। এবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের রামগড় গ্রামে ভাদুর গানে উঠে এল করোনা সচেতনতা। লক্ষীসাগর,সিমলাপাল, রামগড় পোড়াবাড়ি, পুখুরিয়া, খাতড়া,সারেঙ্গা,রাইপুরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো প্রচলন রয়েছে হারিয়ে যেতে বসা এই প্রাচীন লোক রীতি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।